ঢাকামঙ্গলবার , ৩১ আগস্ট ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন জান্নাত নামের এক গৃহবধূ

নিউজ রুম
আগস্ট ৩১, ২০২১ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ । ৪৪৭ জন
Link Copied!
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোলায় একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাত বেগম (২০) নামে এক প্রসূতি। জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে তিন জনই ছেলে। তাদের দুজন সুস্থ রয়েছে, একজন সামান্য অসুস্থ। গত শুক্রবার বিকেলে ভোলার বেসরকারি ক্লিনিক ফাতেমা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ওই তিন শিশুর জন্ম দেন জান্নাত বেগম। তিনি নেত্রকোনা জেলার শোষণ দূর্গাপুর উপজেলার চ-িঘর ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের কৃষক নূর মাহামুদের স্ত্রী। জান্নাতের বাবার নাম মো জামাল মিয়া। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা মনিরাম গ্রামের বাসিন্দা।
জামাল মিয়া জানান, ৮ বছর আগে নূর মাহামুদের সঙ্গে জান্নাত বেগমের বিয়ে হয়। নূর মাহামুদ ও জান্নাত বেগম দম্পতির ৭ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও ৪ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান আছে। শুক্রবার তাদের ঘর আলো করে একসঙ্গে এলো আরও তিন সন্তান। বিয়ের আগে ঢাকা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি সূত্রে প্রেম হয় জান্নাত ও নূরের। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। নূর মাহামুদ বলেন, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের পরে আল্লাহ আমায় এক সাথে তিন সন্তান দিয়েছেন। সকলের কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন আমার সন্তানদের সুস্থ রাখেন।
এ ব্যাপারে ভোলা কালি বাড়ি রোডের ফাতেমা মেমোরিয়াল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. খালিদ আহমেদ সাকিব জানান, গত বৃহস্পতিবার ওই প্রসূতি যমজ বাচ্চা ডেলিভারি হবে বলে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার প্রসবের ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন সিজারের সিদ্ধান্ত নিন। তবে আমরা তাদের সিজার না করানোর জন্য বুঝাতে সক্ষম হই। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সন্তান, ৪টায় দ্বিতীয় সন্তান এবং তৃতীয় সন্তান বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেয়। তিনি আরও জানান, সাধারণ নিয়মে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার দুই মাস পূর্বেই তাদের জন্ম হয়েছে। তাই তিন শিশুর শারীরিক ওজন কিছুটা কম। এজন্য তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মা সুস্থ আছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিনুর বেগম জানান, রাত ৮টায় যমজ তিন শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের দুজন মোটামুটি সুস্থ আছে। একজনের ওজন কম থাকায় কিছুটা অসুস্থ। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।

%d bloggers like this: