


ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সোহাগ) বিরুদ্ধে একই ওয়ার্ডের এক সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানায় মামলা না নেওয়ায় ভিকটিম সংখ্যালঘু গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন ওই মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ২১ নভেম্বর দায়ের করা ওই মামলায় মৃত কয়ছর ডাক্তারের ছেলে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু মামলাটি আমলে নিয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সাথে ওই থানার ইন্সপেক্টরকে (তদন্ত) দিয়ে তদন্ত করিয়ে আদেশ প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বাদী উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গত ১০ অক্টোবর আসামি সকাল ১১টার দিকে তার ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে পরনের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে ডান হাতের শিনা ও ঘাড়ে কামড়ে জখম করে ধর্ষণচেষ্টা করেন। পরে তিনি চিৎকার করলে মামলার সাক্ষীরা উপস্থিত হলে ইবনে মাসুদ সোহাগ দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। চিকিৎসা শেষে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
ওই গৃহবধূ জানান, মামলা করেও তিনি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদী তার প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক ঘর তুলে দিতে তাকে (কাউন্সিলর সোহাগকে) চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে ঘর তুলে না দিলে মামলা করারও হুমকি দেন। বিষয়টি স্থানীয়রা অনেকে জানেন। অভিযোগের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই উল্লেখ করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির এখন পর্যন্ত আদালতের আদেশ পাননি বলে জানান। এছাড়া গৃহবধূর অভিযোগের বিষয়ও তার কিছু জানা নেই।