ঢাকারবিবার , ২ জানুয়ারি ২০২২
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ভোলার ইউপি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা

নিউজ রুম
জানুয়ারি ২, ২০২২ ১১:৪৭ অপরাহ্ণ । ২৩২ জন
Link Copied!
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চম ধাপে ভোলা সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনের প্রচারণার বাকি আর একদিন। সোমবার (৩রা জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা। ৫ জানুয়ারি হবে ১২ টি ইউপির নির্বাচন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভোলার ৩ টি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে বাকি ৯ টি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাত পাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই বিভিন্ন প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরাও। সমানতালে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেম্বার পদপ্রার্থীগণ। আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ গড়তে নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যানের পাশাপাশি নিজ এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাইছেন মেম্বার প্রার্থীরা।

দলমত-নির্বিশেষে সব প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়নগুলোর অলিগলি, রাস্তাঘাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র; সঙ্গে প্রতিশ্রুতির ডালি। এবারের নির্বাচনেও রয়েছে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগ, রয়েছে আপত্তি। শঙ্কাও রয়েছে। তবে এ সবই নির্বাচনের অংশ, ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীদের জয়ের কৌশলও। বিভিন্ন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দল-সমর্থিত মেম্বার প্রার্থীরা প্রচারের শেষ দিকে এসে ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। পোস্টারে ছেয়ে গেছে ইউপিগুলোর অলিগলি, রাস্তাঘাট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই।

ভোলার রাজনীতিবিদ ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, অনেক দিন পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঠে বিভিন্ন প্রার্থীরা প্রায় সমানতালে প্রচার করতে পারছেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কয়েকটি হামলার শিকার হলেও এখন পর্যন্ত ইউপিগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রয়েছে। যদিও নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে তবে ভোটানুষ্ঠান মোটামুটি সুষ্ঠু হলেও তাদের বিজয় সুনিশ্চিত বলে ধারণা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। সে হিসেবে ৩রা জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টায় প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে। এই সময়ের পর প্রার্থী বা সমর্থকদের কেউ কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবে না।

%d bloggers like this: