


আরাফাত ইসলাম।
আজ শনিবার ভোলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হলে এই ভোটগ্রহন চলে বিরামহীন ভাবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বিকাল ৪টা থেকে ভোট গননার কাজ শুরু হলেও নির্বাচন কমিশনকে ফল প্রকাশে বেগ পেতে হয়েছে।
ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মোট ১৩টি পদে দুই প্যানেল থেকে ২৬ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন । ফলাফল শেষে জানা যায়, বিএনপি জোট সভাপতিসহ ৮ টি পদে জয়লাভ করেছে। সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ জিতেছেন ৫ টি পদে। সভাপতি পদে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির মোঃ ফরিদুর রহমান তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের স্বপন কৃষ্ণ দে ৯৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মাহাবুবুল হক (লিটু) ১১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ড. আমিরুল ইসলাম বাছেত পেয়েছেন ৮২ টি।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে বিএনপির মোঃ ইউছুফ (১), মোঃ হাবিবুর রহমান বাচ্চু, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে ইউছুফ (২), অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ কাওছার আহাম্মেদ, ধর্ম,ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোহাম্মদ তোয়াহা, পাঠাগার সম্পাদক পদে মোঃ মনজুরুল ইসলাম ও সদস্য পদে মোঃ ছালাউদ্দিন আহমেদ প্রিন্সসহ ৮টিতে নির্বাচিত হন বিএনপিজোট।
সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক (লিটু) সহ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে জয়লাভ করেন, সহ সাধারণ সম্পাদক মওদুদ আলম টুটুল ,পাঠাগার সম্পাদক মোঃ বাবুল হাসান, সদস্য পদে মোঃ আবুল কাশেম ও জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলী চৌধুরীসহ ৫ টিতে জয়লাভ করেন।
উল্লেখ্য, এবার আইনজীবী সমিতিতে বৈধ ভোটারের সংখ্যা ২০০জন ছিলো, সেখান থেকে ভোট প্রদান করেন ১৯৭ জন। কিন্তু একজন ভোটার গঠনতন্ত্র অনুসারে ব্যালটে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে সে টিক চিহ্ন দেয়ায় ওই ভোটারের ভোট বাতিল বলে ঘোষনা করেন। কিন্তু অপর একজন খালি ঘরে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনে
ক্রসচিহ্ন দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশন এই ভোটটি গণনা করেছেন।
এক ভোটেই শুরু হয় ঝামেলা। এই ব্যালেটের ভোট পেয়েছেন বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী। এবং এই এক ভোটের ব্যবধানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোঃ ফরিদূর রহমান নির্বাচিত হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা এই বিতর্কীত ভোটটি বাতিলের দাবী করেন, এই নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পরায় কিছুক্ষনের জন্য ফলাফল স্থগিত রাখা হয়।
এ সমস্যা নিরসনে জরুরী বৈঠকে, ভোলা আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ ও সিনিয়র সদস্যদেরকে নিয়ে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে ক্রসচিহ্ন দেয়া ভোটটি বৈধ গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফরিদুর রহমানকে বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষনা করা হয়।