


বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই মাস নদীতে সকল প্রকার জাল ফেলা এবং মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।অভিযানের ২৯ দিন শেষ হলেও বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের জেলে কার্ড থাকাও সত্যেও বহু জেলে চাল পায়নি।
বিক্ষোভ মিছিলে জেলেরা জানায়, আলিমাবাদ
ইউনিয়নে প্রায় ১৮শ জেলের জেলে কার্ড থাকলেও এবার শুধু ১৩শ জেলে পেয়েছে পূর্নবাসনের চাল।
৮০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও যারা পেয়েছেন তাদেরকে ৭০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
জেলেরা আক্ষেপ করে বলেন, অভিযানের মধ্যেও আমরা ছেলে সন্তানের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে নদীতে যাই। তাও আবার পুলিশ, কোষ্টগার্ডের হাতে আটক হই। হয় জেল নয়তো গুনতে হয় জরিমানা। অথচ আমরা সরকারের সহায়তার চাল পাচ্ছি না।
জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম জেলেদের সঠিক ভাবে চাল দিচ্ছেন না। তিনি জেলেদের নতুন তালিকা চিলিপের মাধ্যমে তার নিজের লোকদের চাল দিচ্ছে। আমাদের জেলের কার্ড থাকা সত্তেও চাল পাচ্ছি না। চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে নিয়েও চিলিপ দিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে জেলেদের মাঝে সঠিক ভাবে চাল বিতরণ করা জন্য অনুরোধ করছি এবং যারা জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়ন প্রথম ধাপে ১৩শ প্রকৃত জেলেদের চাল দেওয়া যাচ্ছে। বাকী যারা রয়েছে যাচাই বাছাই করে তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে চাল দেওয়া হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের উপজেলার প্রতেকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা জন্য। আমাদের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ২৭৯ জন নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ২২ হাজার ২২৪জন কার্ডধারী বরাদ্দ পেয়েছি ২০ হাজার ২২৪ জনের। বাকী যারা তারও চাল পাবে। যাদের জেলে কার্ড রয়েছে তার পর্যায়ক্রমে চাল পাবে।