

সোহেল/ মাসুদ /হাসনাইন,প্রতিবেদন, ভোলা বঙ্গ নিউজ।।
ভোলার মনপুরা উপজেলায়, গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এনাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, এনাম হাওলাদার তার প্রতিবেশী, ওই নারীকে প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দিত। মঙ্গলবার দুপুরে, এনাম ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে, জোরপূর্বক ধর্ষণ ও মারধর করে। ধর্ষন থেকে রক্ষা পেতে, ধর্মের বাবা ও চাচা ডেকেও রেহাই পায়নি ওই নারী, পরে ডাক চিৎকার করলে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান এনাম হাওলাদার।
বিকেলে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে, এনাম হাওলাদারকে আসামি করে, মনপুরা থানায় মামলা করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্ত, এনাম আত্মগোপনে রয়েছেন। এর আগে এক স্কুল শিক্ষিকাকে, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন, এনাম হাওলাদার। তার বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। যার কারণে আইনি সহয়তা নিতে ভয় পাচ্ছে, ভুক্তভোগী অনেকেই।
আর স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, এমন বেশ কয়েকটি ধর্ষন এবং ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় একাদিক মামলা রয়েছে এনামের বিরুদ্ধে। জানা যায় এনামের প্রধান টার্গেট বিবাহিত নারী। যার কারণে ঐ এলাকার গৃহবধু’রা চরম আতংকে থাকে।
ধর্ষণ করেও ক্ষান্ত হননি এনাম হাওলাদার, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ওই ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের কাছে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চায়।
মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে পুরো উপজেলা আওয়ামী লীগ বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেলিনা চৌধুরী বলেন, তার এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে জেলে ও গিয়ে ছিলো বেশ কয়েকবার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনাম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ঘটনা ঘটার পরপরই পালিয়ে যান অভিযুক্ত এনাম হাওলাদার, পরে ঘটনায় মামলা হলে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেন এনাম, যার কারনে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। তবে ধর্ষণ মামলার আসামি হয়েও তার এলাকায় ঘুরে বেড়ানোটাও দেখেও নানান প্রশ্ন জনমনে।
তবে স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সকল ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম।