ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমি ইউনিয়নের চর মায়া গ্রামে চার পা নিয়ে একটি মুরগির বাচ্চা ফুটেছে।
দুইদিন আগে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) চার পা নিয়ে ডিম থেকে একটি বাচ্চা ফুটেছে।
ওই গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিলন কাজীর স্ত্রী জরিনা বেগমের পালিত মুরগির ডিম ‘তা’ দেওয়ার পর একটি ডিম থেকে চার পা ওয়ালা বাচ্চা ফোটে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে ওই গ্রামের মিলন কাজীর স্ত্রী জরিনা বেগম তার বাড়ির খামারের মুরগির ডিম থেকে ২০টি ডিম ‘তা’ দেন। এরমধ্যে ১৫টি থেকে বাচ্চা ফোটে। কিন্তু ১৪টি বাচ্চা স্বাভাবিক থাকলেও একটি বাচ্চা চার পা নিয়ে ফুটেছে। এতে ওই পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে যান।
এদিকে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। চার পা বিশিষ্ট বাচ্চাটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ।
এলাকাবাসী জানায়, সাধারণত মুরগির দুটি পা থাকবে। এটিই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই মুরগির যদি চার পা হয়, তাহলে তো সবাই অবাক হবেই। এমন ঘটনা চরফ্যাশনে এই প্রথম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলো জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, জেনিটিক ডিজঅর্ডার বা জিনগত ত্রুটির কারণে এমনটি হতে পারে। তবে এসব মুরগির বাচ্চা তাদের স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে বেঁচেও যেতে পারে।